Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

নিরাপদ সবজি চাষে বাংলাদেশ উত্তম কৃষিচর্চা ও শহরকৃষি

আধুনিক কৃষির এক প্রত্যাশিত লাভজনক ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনের অনন্য বিষয় নগর কৃষি। নিরাপদ চাষ দিকটি সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিলে অবধারিতভাবে চলে আসবে বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা অর্থাৎ ইধহমষধফবংয এঅচ এর বাস্তবায়নের বিষয়টি।


বাংলাদেশের সর্বত্র এখন দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সম্প্রতি বিশ্বের দূষিত শহরের শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। তাই এই প্রভাব মোকাবিলায় সবুজ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। শহরে সবুজ বাড়ানোর কারিগরদের মধ্যে নিঃশব্দে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সর্বাগ্রে রয়েছে ছাদ-বাগানি। যাদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগই রয়েছেন গৃহিণী কিংবা মহিলা যাদের বলা হয় সবুজ আর্মি (এৎববহ ধৎসু)। পরিকল্পিত ও মডেল ছাদ-বাগান কখনই ছাদ-কিংবা পরিবেশ নষ্ট করে না বরং ছাদ ঠাণ্ডা ও পরিবেশবান্ধব ভাবেই শহরকে রক্ষা করবে এবং বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষণীয় রক্ষাকবচ। ঢাকা শহরে কমপক্ষে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ছাদ রয়েছে (সাড়ে চার হাজার হেক্টরের বেশি) যা  দেশের কোন একটি উপজেলার সমান বা বেশি। বিল্ডিং কোডে ২০% সবুজ থাকার কথা থাকলেও মানার বিষয়টি আশাব্যঞ্জক নয়। নগরে সবুজের পরিমাণ বাড়ছে, কিন্তু এর সাথে সাথে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। নগরে জলবায়ু পরিবর্তনের  সাথে খাপখাওয়াতে সক্ষম সবজি চাষের জন্য ছাদ-বাগানসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি ও কলাকৌশল নগরে টেকসই ও জনপ্রিয় করতে হবে।


বাংলাদেশ-উত্তম কৃষি চর্চা (ইধহমষধফবংয এঅচ) : বিশ্ব উত্তম   কৃষি চর্চা (এষড়নধষ এঅচ) সারা প্রথিবীতে নিরাপদ কৃষি পণ্য  উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং ইহা সবার নিকট গ্রহণযোগ্যও বটে। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশেও রয়েছে নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিতকরণের নিজস্ব উত্তম কৃষি চর্চা। নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিতকরণে কিছু জনপ্রিয় সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপ যেমন- হেচাপ, আইএসও যা গুদাম সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণকে নিরাপদতা প্রদান করে। এ সকল নিরাপদ মানদণ্ড নিশ্চিতে বিশেষ করে ফসল মাঠে নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনের সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য  প্রতিষ্ঠান বা পদ্ধতিই হলো বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা (ইধহমষধফবংয এঅচ)। বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা (ইধহমষধফবংয এঅচ) এর বেশ কয়েকটি ধারা বা পর্যায় রয়েছে-


*উত্তম কৃষি চর্চা মানদণ্ড (চঅজঞ ও- এঅচ ংঃধহফধৎফং);
*বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন কাঠামো (চঅজঞ ওও ঝঃৎঁপঃঁৎব ভড়ৎ রসঢ়ষবসবহঃরহম এঅচ রহ ইধহমষধফবংয) [ধারা-১: স্কিম মালিকের জন্য নীতিমালা প্রতিষ্ঠাকরণ (ঝঊঈঞওঙঘ ১. এঁরফধহপব ভড়ৎ ঊংঃধনষরংযরহম ধ ঝপযবসব ঙহিবৎ); ধারা-২: চালনা কাঠামো (ঝঊঈঞওঙঘ ২.এড়াবৎহরহম ঝঃৎঁপঃঁৎব)


*উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেট প্রদান (চঅজঞ ওওও  ঈবৎঃরভরপধঃরড়হ ড়ভ এঅচ ) যার অর্ন্তগত [ধারা-১-সার্টিফিকেট প্রদান বৈশিষ্ট্য (ঝবপঃরড়হ ১. ঈবৎঃরভরপধঃরড়হ ঈৎরঃবৎরধ); ধারা-২-সার্টিফিকেট পাওয়ার নিয়মাবলি; (ঝবপঃরড়হ ২. ঈবৎঃরভরপধঃরড়হ চৎড়পবংং); ধারা-৩-সার্টিফিকেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা কমিটি (ঝবপঃরড়হ ৩. জবয়ঁরৎবসবহঃং ভড়ৎ ঈবৎঃরভরপধঃরড়হ ইড়ফরবং); ধারা-৪-নিরাপদতার নিশ্চয়তা চিহ্ন ব্যবহারের নিয়মাবলি (ঝবপঃরড়হ ৪. জঁষবং ভড়ৎ টংব ড়ভ ঈবৎঃরভরপধঃরড়হ গধৎশ)]
সবজি ও ফল এর স্থানীয় বা এলাকাভিত্তিক উত্তম কৃষি চর্চা স্কিম ২০১৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বিশ্ব খাদ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় ইধহমষধফবংয এঅচ বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ চাষাবাদ ম্যানুয়াল কৃষি সেক্টরের প্রায় সকল অভিজ্ঞ কৃষিবিষয়ক ব্যক্তিবর্গ মিলে তৈরি করেন। বাংলাদেশ গ্যাপ নিয়ে প্রমোশন করতে গিয়ে দেখেছি, মাঠ হতে সংরক্ষণাগার পর্যন্ত নিরাপদতা সবচেয়ে বেশি দরকার কারণ উৎপাদন নিরাপদ না হলে পরে যতই চেষ্টা করি না কেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন টেকসই করা কখনই সম্ভব নয়। ইধহমষধফবংয এঅচ প্রযুক্তিটি বর্তমানে খুবই কার্যকর। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর উত্তম কৃষি চর্চা মানদণ্ড- খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্যের গুণাগুণ, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, বাগানি বা কৃষক এবং শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং প্রত্যেকের জন্য আলাদা বা গুচ্ছভাবে ওয়েলফেয়ার মডিউল বাস্তবায়ন মডিউল নিয়ে করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও গুণাগুণ এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ৩টি   ক্যাটাগরি যেমন- সংকটাপূর্ণ (ঈৎরঃরপধষ), মুখ্য (গধলড়ৎ), গৌণ (গরহড়ৎ) এ ভাগ করা হয়েছে। এখানে সংকটাপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সেসব বৈশিষ্ট্য ফসলের/ফল নিরাপত্তার পূর্বশর্ত মেনে না চলার কারণে খাদ্য নিরাপত্তা বিনষ্ট হবে। এ শর্ত শতকরা ১০০ ভাগ মেনে চলতে হবে। মুখ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ মেনে ফসল/ফল উৎপাদন বাধ্যতামূলক এবং গৌণ বৈশিষ্ট্যসমূহ মেনে ফসল/ফল উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ফসল/ফল  এর ধরন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নয়।


খাদ্য নিরাপত্তা মডিউল মধ্যে ফসল/ফল উৎপাদনের সকল লক্ষণীয় বিষয় যেমন- ফল-ফসল উৎপাদন এলাকার ইতিহাস ও ব্যবস্থাপনা (ঝরঃব যরংঃড়ৎু ধহফ সধহধমবসবহঃ), রোপণ বা বপনযোগ্য বীজ বা প্রজনন উপাদান (চষধহঃরহম সধঃবৎরধষং), এগঙ, সার ও মাটি অনুষঙ্গ (ঋবৎঃরষরুবৎং ধহফ ংড়রষ ধফফরঃরাবং), সেচ-পানি (ওৎৎরমধঃরড়হ ডধঃবৎ), রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার (ঈযবসরপধষং), ফসল সংগ্রহ ও হ্যান্ডলিং পদ্ধতি (যধৎাবংঃরহম ধহফ যধহফষরহম ঢ়ৎড়পবফঁৎব), প্রশিক্ষণ (ঞৎধরহরহম), ফল-ফসল অনুসরণযোগ্যতা এবং পণ্যপ্রত্যাহার (ঞৎধপবধনরষরঃু ধহফ ৎবপধষষ), কাগজ ও নথিপত্র সংরক্ষণ (ফড়পঁসবহঃং ধহফ ৎবপড়ৎফং), অনুশীলন পর্যালোচনা (ৎবারবি ড়ভ ঢ়ৎধপঃরপবং) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য মডিউলে    প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পরিত্যক্ত উপকরণ ব্যবস্থাপনা (ডধংঃব সধহধমবসবহঃ), শক্তির দক্ষতা (ঊহবৎমু বভভরপরবহপু), জীব বৈচিত্র্যতা (নরড়ফরাবৎংরঃু), বায়ু ও শব্দদূষণ (অরৎ/হড়রংব) সকল কৃষি সংশ্লিষ্ট নিয়ামকসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে।


উদাহরণস্বরূপ : নিরাপদ ফসল উৎপাদনের প্রধান উপকরণ বীজ বা রোপণ/বপন উপাদান যে কোন রোগ-পোকামাকড় আক্রান্ত চিহ্ন মুক্ত থাকতে হবে। সঠিক ও সার্টিফিকেটধারী নার্সারি (সরকারি/বেসরকারি/কৃষি প্রতিষ্ঠান/স্বীকৃত টিস্যু কালচার ল্যাব হতে সংগৃহীত) ভালো গুণাগুণ সম্পন্ন রুট স্টক এবং সায়ন সংগ্রহ করতে হবে। এই নিয়ামকটি মুখ্য বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ ইহার স্কোর হবে ৯০% যা অবশ্যই পালন বাধ্যতামূলক কোন উৎপাদক নিরাপদ ফল-ফসল উৎপাদনের শর্তপূরণের একটি শর্তপূরণ করলেন বলে লিপিবদ্ধ করা হবে। এভাবে প্রত্যেকটি মডিউলে উল্লেখিত নিয়াবলি পালন করে একজন উৎপাদক বাংলাদেশ সরকারের নিরাপদ ফল-ফসল উৎপাদনের সার্টিফিকেট ও মানদণ্ড চিহ্ন ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। উৎপাদকের মাঠে সরকারিভাবে চিহ্নিত এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অডিটর বা সরকার কর্তৃক নির্বাচিত ৩য় কোন অডিটর পর্যায়ক্রমে সকল ধাপ পরীক্ষা, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করে তার ভুলত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে নিরাপদ  ফল-ফসল উৎপাদনে উৎপাদককে উৎসাহিত করবেন। যদিও এখন পর্যন্ত  ইধহমষধফবংয এঅচ ভধৎস ধংংঁৎবৎ ড়ৎ ধঁফরঃড়ৎ ংবষবপঃরড়হ এবং  ধপপৎবফরঃধঃরড়হ নড়ধৎফ, পবৎঃরভরপধঃরড়হ নড়ধৎফ ইত্যাদি গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে । মনে রাখতে হবে ওঝঙ, ঐঅঈঈচ,  ইঝঞও এসকল প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত ফল-ফসল, উপাদান বা গুদাম থেকে বাজারজাতকরণ সার্টিফিকেট প্রদান করে কিন্তু বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা বা বাংলাদেশ গ্যাপ (ইধহমষধফবংয এঅচ) কৃষক, বাগানি বা উৎপাদককে মাঠে নিরাপদ ফলসবজি চাষে উৎপাদনকারীকে উৎসাহিত ও সার্টিফিকেট প্রদানে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হবে, যা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুগপৎভাবে কাজ করতে সক্ষম।


ইধহমষধফবংয এঅচ ও নিরাপদ সবজি চাষে প্রথম সাহসী পদক্ষেপ- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নরসিংদীর একটি উপজেলায় পরিবেশবান্ধব সবজি ও ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ৫০০ জন কৃষক নিয়ে নিরাপদ সবজি চাষে ইধহমষধফবংয এঅচ এর ব্যবহার শুরু করেছে। যেখানে  কৃষককে বা উৎপাদককে নির্দিষ্ট ফসলের জন্য নিরাপত্তা সার্টিফিকেট নিতে হবে যেমন- গ্যাপ টমেটো, গ্যাপ লাউ, গ্যাপ বেগুন ইত্যাদি।


নিরাপত্তা ও আধুনিক সবজি চাষ : একবিংশ শতাব্দীতে আরো দ্রুত নগরায়ণের এবং জনসংখ্যা ২০৫০ সালে ৮.৩ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। নির্দিষ্ট  কৃষি জমি ফলে বাণিজ্যিক ভার্টিক্যাল চাষাবাদ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই, যা অবশ্যই নগর কৃষির অন্তর্গত। গবেষকদের ধারণা অনুযায়ী সুউচ্চ ৩০ তলা ভবনে ২৭,৮০০০,০০০ বর্গমিটার ভার্টিক্যাল ফার্ম স্থাপন করা যায়, যা দিয়ে ৫০,০০০ মানুষকে খাওয়ানো যাবে যেখান থেকে প্রত্যেক জনকে ২০০০ ক্যালরি প্রতিদিন দেয়া সম্ভব। সুতরাং, ভবিষ্যতের জন্য একমাত্র মাধ্যম হবে নগর ভার্টিক্যাল কৃষি ফার্ম।


বাণিজ্যিক নগর কৃষি আরো টেকসই করা সম্ভব কারণ এত সেচের পানির অপচয় ৪০-৬০% কমিয়ে এনে ৩-৪ গুণ ফলন বাড়ানো যায় যেখানে হাইড্রোপনিক্যালি পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ পানিকে অটোমেটিক এবং জলবায়ু-নিয়ন্ত্রিত বিল্ডিংয়ে সংরক্ষণ করে পুনরায় ব্যবহার করা হয়। যদিও আধুনিক এই প্রযুক্তির ইনডোর ভার্টিক্যাল ফার্মিংয়ে খঊউ ষরমযঃ, ধৎঃরভরপরধষ রহঃবষষরমবহপব (অও), স্বয়ংক্রিয় ড্রিপ সেচ ব্যবহারের কারণে এককালীন খরচ বেশি মনে হলেও তা কিন্তু ক্যাপিটাল খরচ অর্থাৎ প্রথম বছরই এই খরচ হবে, এর পরের বছর থেকে কমপক্ষে ৫-১০ বছর তা ব্যবহার করা যায় এবং উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন থাকে বিধায় লোকসান নেই এবং সকল স্থাপনা ও প্রযুক্তি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা যায়। বাণিজ্যিক নগর ভার্টিক্যাল ডিভাইস, গ্রিনহাউস হাইড্রোপনিক, একুয়াপনিক্স, ছাড়াও স্মার্ট ফার্মিং ডিভাইস, স্বয়ংক্রিয় সেচসমৃদ্ধ ভার্টিক্যাল লাইন ডিভাইস, স্বয়ংক্রিয়  ছাদ-বাগান ঠাণ্ডাকরণ ডিভাইস ইত্যাদি ব্যবহার করে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বিদেশি ব্রাসেলস স্প্রাউট, লেটুস, লাল টমেটো, কালো টমেটো, শসা, লালশাক, ডাঁটাশাক, ধনিয়াপাতা, ক্যাপসিকাম, চাইনিজ বাঁধাকপি, ছাড়াও সালাদ অনুসঙ্গ পুদিনা, সেলেরি, পিয়াজপাতা সবজি চাষাবাদ এখন আমাদের দেশেই সম্ভব ।


নিরাপদ সবজি চাষাবাদ ও রোগ-পোকামাকড় দমন : বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা মডিউলে রাসায়নিক সার ও মাটিতে সংযোজিত অন্যান্য বস্তু ব্যবহার করার সময় বাগানি বা কৃষককে মাটি জীবাণুমুক্ত করা, ভারী ধাতুর উপস্থিতি পরীক্ষা করে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি সংকটপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবজি চাষের ক্ষেত্রে মাটি শোধনের পাশাপাশি গ্রোয়িং মিডিয়ার গুণাগুণ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। ভার্মি কম্পোস্ট, রান্নাঘর ও খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ দিয়ে বানানো সার, চা-কম্পোস্ট, ডিম খোসা ভাঙা মিশানো, নতুন মাশরুম কম্পোস্ট (পটাশ ও   ফসফরাস আধিক্য), নিম খৈল, সরিষা খৈল, ইত্যাদি ছাড়াও যে কোন বায়োলজিক্যাল কম্পোস্ট উৎস সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে ব্যবহার করতে হবে। রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বোতলের গায়ের নিয়মাবলি কঠোরভাবে পালন করতে হবে। নিয়ম মেনে রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করতে হবে। বালাইনাশক ব্যবহারের পর পাতা ও ফল-জাতীয় সবজি আহরণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করতে হবে। পোকা দমনে ফ্লাইং ইনসেক্টের জন্য ফেরোমন ট্রাপ, সোলার লাইট ট্রাপ, আঠালো ট্রাপ, পেয়াজ পাতার ও ছোলা পেস্ট বা নির্যাস, রসুনের, গাঁদা ও চন্দ্রমল্লিকার (সর্বাধিক কার্যকরী-ফুলের দোকানে ফেলে দেয়া ফুল সংগ্রহ) ফুলের নির্যাস ভালো কাজ করবে।


গবেষণায় জানা যায়, ঢাকা শহরের ৭৬% ছাদ-বাগানি প্রশিক্ষণ নিতে চায়। প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার জন্য নিকটস্থ’ কৃষি অফিস, হর্টিকালচার সেন্টার ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগসহ ফেসবুক গ্রুপগুলো পরামর্শ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদান করে। অনলাইন পোর্টাল করে, ফেসবুকে গ্রুপ করে ফসল/ফল সমস্যা সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করা যেতে পারে। সম্প্রতি উঅঊ নগর কৃষি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় শুরুতে ঢাকা শহরে প্রায় ৬০০ ছাদ-বাগান টার্গেট করে কাজ শুরু করেছে।

 

ড. এ এইচ এম সোলায়মান

অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১২০৭, মোবাইল : ০১৭১১০৫৪২১৫, ই-মেইল :  Solaimarsau@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon